অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার কী?
অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার হল এমন একটি মানসিক অবস্থা যেখানে কেউ অতিরিক্ত উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা এবং ভয়ের সম্মুখীন হয়। এটি সাধারণ উদ্বেগের তুলনায় তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী, যা দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে।
এর সাধারণ লক্ষণ ও কারণ
লক্ষণ
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।
- ঘুমের সমস্যা বা ইনসোমনিয়া।
- হৃদপিণ্ডের দ্রুত স্পন্দন।
- অস্বস্তি বা আতঙ্ক।
- মনোযোগের অভাব।
কারণ
- জিনগত কারণ।
- অতীতের মানসিক ট্রমা।
- দীর্ঘমেয়াদী স্ট্রেস।
- নির্দিষ্ট শারীরিক অসুস্থতা।
- মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা।
চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রতিরোধ
চিকিৎসা পদ্ধতি
- থেরাপি (যেমন, সিবিটি – কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি)।
- ওষুধ (যেমন, অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি মেডিসিন)।
- যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা।
প্রতিরোধ
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা।
- জীবনের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট শেখা।
- সামাজিক সহযোগিতা ও মানসিক সমর্থন নেওয়া।
কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা যায়
- ইতিবাচক মানসিক মনোভাব বজায় রাখা।
- প্রয়োজন অনুযায়ী পেশাদার পরামর্শ নেওয়া।
- শখের কাজ বা পছন্দের কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়া।
- সামাজিক মেলামেশা এবং পরিবারে সময় কাটানো।
- দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় শুধু নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য রাখা।
অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের প্রতিকার ও চিকিৎসা
-
মানসিক থেরাপি (Cognitive Behavioral Therapy – CBT):
মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে উদ্বেগ কমানোর উপায়।
-
মেডিকেশন:
চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ গ্রহণ।
-
মেডিটেশন এবং রিল্যাক্সেশন:
নিয়মিত মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম।
-
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা:
নিয়মিত ঘুম, পুষ্টিকর খাদ্য, এবং ব্যায়াম।
প্রতিরোধে কার্যকর উপায়
- ইতিবাচক চিন্তা অভ্যাস করুন।
- ধূমপান ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।
- মানসিক চাপ কমাতে শখের কাজ করুন।
- বন্ধু ও পরিবারের সাথে সময় কাটান।